a story lurks in every corner...
Showing posts with label Dr P K Nath. Show all posts
Showing posts with label Dr P K Nath. Show all posts

আমি ও তিস্তা

আমি:
তিস্তা বলেছিলাম ফিরে আসব তোমার কাছে
কিন্তু তার হাত ধরে আসতে পারিনি, একাই এসেছি

বলেছিলাম স্বপ্নের খেয়া ভাসাবো তোমার স্বচ্ছ জলে কিন্তু তা যে চোখের জলে আগেই ভাসিয়ে দিয়েছি

বলেছিলাম অনেক ভালবাসা সাথে নিয়ে আসব কিন্তু আজ আমি নিঃস্ব হাতে এসেছি
তুমি কি গ্রহন করবে আমায়?


তিস্তা:
তিস্তা আমি বয়ে চলেছি যুগ-যুগান্তর ধরে
দেখেছি বহু প্রজন্মের বেদনা যন্ত্রণা সুখ অসুখ
সব বয়ে চলেছি আমার শীতল স্রোতে
এসো আমার তীরে তুমি, এসো আমার তরে
ভাসিয়ে দাও সব গ্লানি, কান্না যত আছে তোমার বুকে
আমি ছিলাম, আমি আছি, আমি থাকবো
বয়ে যাবে আমার স্রোত, মিশে যাবে তোমার সুরে

Co-authored with Dip Sarkar

পিকুর_ডায়েরি (বুলবুলের দাপটে শালিক আক্রান্ত)

কাল বিকেল থেকে আমি plus এরা, দু'পক্ষই ঘরবন্দি

এরা দুজন আমার ব্যালকনিতে থাকে, ওখানে রাখা গাছপালার মধ্যে

অনেকবার তাড়িয়েছি কিন্তু বেহায়া পাখি কিছুতেই যায় না। অবশেষে ওদের দাবির সামনে নতিস্বীকার করতে হলো আমায় এবং ব্যালকনির মালিকানা ওদের হাতে দিয়ে দিতে হলো।

তবে অনেকদিন বসবাস করার ফলে এখন অবশেষে ব্যালকনি টাকে ওরা নিজের বাড়ি বলে মনে করতে শুরু করেছে। Potty ট্রেনিং হয়ে গেছে ওদের। এখন আর বেলকনি নোংরা করে না। বাইরে হাগু করে আসে।

আগে ওদের খাবার জন্য রোজ চাল আর ডাল ছড়িয়ে রাখতাম। বিকেলবেলা ঘরে ফিরে এসে দেখতাম যেখানের খাবার সেখানেই পড়ে রয়েছে। একটা কিছু খাইনি।

আসলে তো আজকালকের হাওয়া এদের লেগে গেছে। তাই ঘরের শাক-মাছ-ভাত-ডাল এদের ভালো লাগেনা। সারাক্ষণ শুধু বাইরে খাওয়ার তাল।

Durga Puja: thy second name is Misty Bhoj




Went to brunch at Misti Hub, Eco Park, Kolkata.

Durga Puja is the biggest festival for a Bengali Hindu. Come the day of dashami, a Bengali waves goodbye to the mother goddess with a heavy heart and waits eagerly all through the year for the return of these four days of festivities. He cleans up his house; plans his leave from office work days ahead; finishes up a long list of shopping for himself and his loved ones; catches up with friends, family and relatives and goes pandal hopping all through the night and last, but not the least goes on a gastronomic adventure trip with sweets forming an integral part of diet plans which has been put off the track again this year because of Durga Puja. A Bengali doesn't exist without misti. 

workout after Ganga Snan on Mahalaya






Trainer: HIMADRI ROY
Contact: 9635551840

মহালয়া ২০১৯

মহালয়ার ভোর, মানে দেবীপক্ষের শুরু। সাড়ে তিনটার এলার্ম মোবাইলে সেট করা ছিল। অ্যালার্মের ঘণ্টা বাজতেই দীপ উঠে স্নান সেরে নিল। আমার তখনও ঘুম ভাঙেনি। চারটের সময় জিতেন আমায় ডেকে তুলে দিল। 'কিরে উঠবি না? দক্ষিণেশ্বর যেতে হবে তো।' ঘুমে ভরা চোখ খুলছি আর কানে আসছে রেডিওতে চালানো বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী। সেই ছোটবেলা থেকে রেডিওতে মহালয়ার ভোরে শুনে বড় হয়েছি। ওদিকে রেডিও চলছে আর এদিকে আমরা সবাই তৈরি। ইতিমধ্যেই অনিন্দ্য ফোন করে জানালো যে সে আমাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।


সাড়ে চারটের মধ্যে আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছি। দক্ষিণেশ্বর পৌঁছাতে লেগেছে মাত্র 15 মিনিট। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে পুরো ফাঁকা। সাঁই সাঁই করে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে গেলাম। কিন্তু আলম্বাজার পৌঁছে দেখছি গাড়ি reroute করে দিয়েছে। এগিয়ে গিয়ে গাড়ী ঘুরিয়ে রেলওয়ে কলোনির ভেতরে পার্কিংয়ের জায়গা। সব দিকে জল আর কাদা। গাড়ি রাখার ব্যবস্থা একদম ভালো লাগলো না। যাইহোক, কোনমতে একটা জায়গা দেখে গাড়ি সাইড করে আমরা বেরোলাম।




ভেবেছিলাম ভোরবেলা যাচ্ছি, অল্প কিছু লোকজনের মধ্যে গঙ্গা স্নান করে ফিরে আসবো। কিন্তু কোথায়! ওখানে জনপ্লাবন নেমেছে। লোকের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। ঘাটের পাশেই জুতো রাখার স্টল। সেখানে আমাদের জুতো চটি রেখে আমি আর অনিন্দ্য সিঁড়ি দিয়ে জলে নেমে গেলাম। সিডি ভর্তি কাদা। তলার স্টেপগুলো বেশ slippery। তাও আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে দুজনেই জলে নেমে গেলাম। ভোরের ঠান্ডা গঙ্গাজল গায়ে লাগিয়ে বেশ ভালই লাগলো। দুজনেই তিনটে করে ডুব দিলাম। ঘুরে দেখি জিতেন আমাদের ছবি তুলেই চলেছে। আমাদের ডুব দেয়া হয়েছে কি সিঁড়ির ওপর থেকে একজন ভদ্রমহিলা চেঁচিয়ে বললেন, 'আপনাদের হয়ে গেলে উঠে পড়ুন। এবার আমরা নামব'। দুজনেই আবার সাবধানে উঠে এলাম। 















সকালবেলা দক্ষিণেশ্বর গেলে আমরা নিয়ম করে কচুরি, ছোলার ডাল আর পরে মিষ্টি খেয়ে আসি। সেদিনও আমরা তাই করলাম। মন্দির থেকে বেরিয়ে সোজা কচুরি স্টলে চলে গেলাম।সবাই মিলে জমিয়ে কচুরি খাওয়া হলো আর সাথে হলো প্রচুর আড্ডা। দেবীপক্ষের শুরু খুব ভালভাবে হলো আমাদের। মার কাছে প্রার্থনা যেন সারা বছর টাও এভাবেই ভালো ভাবে কাটাতে পারি আমরা সবাই। সবাই ভালো থাকুক। সবারই যেন মঙ্গল হয়।