a story lurks in every corner...

Raksha Bandhan (রক্ষা বন্ধন) celebration






তখন অনেক ছোট। অরুণাচল প্রদেশে থাকি। চারিপাশে পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট একটা গ্রাম, যার নামে ইয়াজালি (Yazali)।

আশেপাশে মানুষজন নেই বললেই চলে। আমরা দুজনেই একে অপরের বন্ধু ছিলাম। পাহাড়ি নদী, নালা, জঙ্গল... আমরা দুজনে বাবা-মায়ের থেকে লুকিয়ে এক্সপ্লোর করে বেড়াতাম। প্রজাপতি ধরা থেকে জোঁকের কামড় খাওয়া, সবকিছুই একসাথে করেছি ছোটবেলায়।

সময়ের সাথে নিজেরা নিজেদের ক্যারিয়ার এবং লাইফ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি এবং আলাদা আলাদা জগতে চলে যাই। কিন্তু আজও সেই ঋদ্ধতা টা রয়ে গেছে আমাদের মধ্যে।

https://www.facebook.com/109160410427773/posts/117972006213280/https://www.facebook.com/109160410427773/posts/117972006213280/

রিলেশনশিপ and মানসিকতা

আমি মনে করি একটা রিলেশন শিপের স্টেবিলিটি র জন্য মানসিকতার একটা বড় রোল আছে। মানসিকতা মানে জেনারেল মেন্টাল make-up of a person.

How he behaves in a given situation; What he would do; what he would say; how he would think; the way he would proceed given a certain set of environmental conditions.... This is what I refer to when I use the term মানসিকতা...

অনেক সময় একটা কথা আমরা প্রায়ই বলে থাকি, 'opposites attract'.

দুটো মানুষ যদি একদম একই স্বভাবের হয়, হয়তো তাদের সম্পর্ক যতটা interesting হয়, তার থেকে স্বভাব যদি একটু আলাদা হয় তাহলে রিলেশনশিপ explore করার মজাই আলাদা হয়ে যায়, এটা আমি মনে করি। কারণ তখন থাকে অপর মানুষটাকে জানা, এবং চেনা, এবং তার মধ্যে থাকা অনেক অজানা জিনিসকে খুঁজে বার করার একটা আগ্রহ। Thrill। তাই জন্যই হয়তো opposites attract phraseটা এত প্রচলিত।

কিন্তু কখনো-কখনো দুটো মানুষের মানসিকতা এতটাই আলাদা হয়ে যায় যে তারা একেবারে দুই মেরুর মানুষ বলে একে অপরের কাছে দেখা দেয়। কখনো কখনো এমন মনে হয় যে অপর মানুষটা একজন complete stranger.

একে তো চিনি না! এই মানুষটাকে কি আমি ভালোবাসি?

কিন্তু তাও ভালোবাসার টানে সব সময় মনে একটা বল পাওয়া যায়। মনের মধ্যে একটা আশা থাকে, 'যাই হোক না কেন আমি তো ওকে ভালোবাসি; সেও আমাকে ভালবাসে; at the end of the day that is what matters; তাহলে adjust করার চেষ্টা করতে ক্ষতি কি? নিশ্চয়ই পারবো। ও না হলে আমি তো পারব। দেখাই যাক না...'

কিন্তু যদি একদিন এরকম একটা situation তৈরি হয় যখন একজনের মনে হয় যে আরেকজনের মানসিকতাটা আলাদাই নয় খারাপ, তাহলে তার কি রিলেশনশিপ টা continue করা উচিত?

দুজন মানুষের মানসিকতা আলাদা হলে সেটা না হয় adjust করে নেওয়া যায় কিন্তু, যদি কেউ মনে করে যে অপর মানুষের মানসিকতাটাই খারাপ, তাহলে তার কি খারাপ মানসিকতার মানুষের সাথে থাকা উচিত???

আমি মনে করি মানসিকতার ভালোত্ত বা খারাপত্তটা আপেক্ষিক। হয়তো আমার কাছে যেটা ভালো, আরেকজনের কাছে সেটা খারাপ and vice versa. আর জোর করে চেষ্টা করেও কারুর thought process কে পাল্টানো যায় না।

তাই, এই সিচুয়েশনে যখন আমি মনে করছি যে অপর মানুষটা ভালো না (বা, তার মানসিকতা খারাপ), আমার কি উচিত সবকিছু জেনে; বুঝে; মেনে; খারাপ মানসিকতার মানুষটার সাথে সংসার করা???

আজকের e-জেনারেশন

কিছুটা হতাশ; কিছুটা অবাক; কিছুটা বিরক্ত হয়ে এই পোস্টটা লিখছি। Identify করবো না, শুধু এটুকু জানা থাক যে উনি আমার একজন বন্ধু।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা আলোচনা হয়। অনেক কিছুতেই উনি মতামত দেন এবং আমার মতামত নেন ও।

আজ বিকেলে একটু ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। সন্ধ্যেবেলা ঘরে ফিরে কিছু পেন্ডিং কাজকর্ম complete করলাম আগে কারণ কাল সোমবার। সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে দৌড়ঝাঁপ।

অনেকটা সময় পর যখন মোবাইল হাতে নিলাম, WhatsApp অন করতেই ওনার পেইজে এইটা দেখতে পেলাম।

মেসেজের পর মেসেজ উনি লিখে গেছেন আর তারপর সেগুলো ডিলিট করে গেছেন। একদম শেষে লিখেছেন, ' any problem with me, say clearly, bolo'.

সাথে সাথেই ওনাকে ফোন করলাম। বললাম যে আমি ব্যস্ত ছিলাম কাজে তাই মোবাইল চেক করিনি। প্রশ্ন করলাম, কি এত লিখেছেন, আর লিখে সে গুলোকে মুছেছেন। উনি উত্তরে ব্যঙ্গাত্মক হাসি দিয়ে বললেন যে যখন দেখনি তো আর এখন জেনে কি হবে। বেশি কথা না বাড়িয়ে আমি ফোনটা রেখে দিলাম।

আজ মোবাইলের যুগে আমাদের সবকিছুই ইনস্ট্যান্ট পেতে পেতে এমন একটা বদ অভ্যাস হয়ে গেছে যে আমরা সব কিছুই নিমিষের মধ্যে চাই। কারুরই অপর মানুষের জন্য সময় নেই। সবাই আজ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।

সবারই আজকাল
ইনস্ট্যান্ট ক্রাশ;
ইনস্ট্যান্ট লাভ ;
কুইক সেক্স;
ফাস্ট ব্রেকআপ;
ইনস্ট্যান্ট মুভ অন চাই।

মনে হচ্ছে যেন আমি পিছিয়ে পড়ছি সবার এই বৈদ্যুতিক গতিতে এগিয়ে যাওয়ার দৌড়ে....