a story lurks in every corner...

workout after Ganga Snan on Mahalaya






Trainer: HIMADRI ROY
Contact: 9635551840

মহালয়া ২০১৯

মহালয়ার ভোর, মানে দেবীপক্ষের শুরু। সাড়ে তিনটার এলার্ম মোবাইলে সেট করা ছিল। অ্যালার্মের ঘণ্টা বাজতেই দীপ উঠে স্নান সেরে নিল। আমার তখনও ঘুম ভাঙেনি। চারটের সময় জিতেন আমায় ডেকে তুলে দিল। 'কিরে উঠবি না? দক্ষিণেশ্বর যেতে হবে তো।' ঘুমে ভরা চোখ খুলছি আর কানে আসছে রেডিওতে চালানো বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী। সেই ছোটবেলা থেকে রেডিওতে মহালয়ার ভোরে শুনে বড় হয়েছি। ওদিকে রেডিও চলছে আর এদিকে আমরা সবাই তৈরি। ইতিমধ্যেই অনিন্দ্য ফোন করে জানালো যে সে আমাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।


সাড়ে চারটের মধ্যে আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছি। দক্ষিণেশ্বর পৌঁছাতে লেগেছে মাত্র 15 মিনিট। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে পুরো ফাঁকা। সাঁই সাঁই করে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে গেলাম। কিন্তু আলম্বাজার পৌঁছে দেখছি গাড়ি reroute করে দিয়েছে। এগিয়ে গিয়ে গাড়ী ঘুরিয়ে রেলওয়ে কলোনির ভেতরে পার্কিংয়ের জায়গা। সব দিকে জল আর কাদা। গাড়ি রাখার ব্যবস্থা একদম ভালো লাগলো না। যাইহোক, কোনমতে একটা জায়গা দেখে গাড়ি সাইড করে আমরা বেরোলাম।




ভেবেছিলাম ভোরবেলা যাচ্ছি, অল্প কিছু লোকজনের মধ্যে গঙ্গা স্নান করে ফিরে আসবো। কিন্তু কোথায়! ওখানে জনপ্লাবন নেমেছে। লোকের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। ঘাটের পাশেই জুতো রাখার স্টল। সেখানে আমাদের জুতো চটি রেখে আমি আর অনিন্দ্য সিঁড়ি দিয়ে জলে নেমে গেলাম। সিডি ভর্তি কাদা। তলার স্টেপগুলো বেশ slippery। তাও আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে দুজনেই জলে নেমে গেলাম। ভোরের ঠান্ডা গঙ্গাজল গায়ে লাগিয়ে বেশ ভালই লাগলো। দুজনেই তিনটে করে ডুব দিলাম। ঘুরে দেখি জিতেন আমাদের ছবি তুলেই চলেছে। আমাদের ডুব দেয়া হয়েছে কি সিঁড়ির ওপর থেকে একজন ভদ্রমহিলা চেঁচিয়ে বললেন, 'আপনাদের হয়ে গেলে উঠে পড়ুন। এবার আমরা নামব'। দুজনেই আবার সাবধানে উঠে এলাম। 















সকালবেলা দক্ষিণেশ্বর গেলে আমরা নিয়ম করে কচুরি, ছোলার ডাল আর পরে মিষ্টি খেয়ে আসি। সেদিনও আমরা তাই করলাম। মন্দির থেকে বেরিয়ে সোজা কচুরি স্টলে চলে গেলাম।সবাই মিলে জমিয়ে কচুরি খাওয়া হলো আর সাথে হলো প্রচুর আড্ডা। দেবীপক্ষের শুরু খুব ভালভাবে হলো আমাদের। মার কাছে প্রার্থনা যেন সারা বছর টাও এভাবেই ভালো ভাবে কাটাতে পারি আমরা সবাই। সবাই ভালো থাকুক। সবারই যেন মঙ্গল হয়।




Working out to curb a depressed mood





Life is complicated. It always was and it shall always continue to be so. Not just for me, but for everyone else as well. There comes a day in your life when, in spite of the best of efforts you find yourself lost trying to figure out what just went wrong. And the inability to find a plausible explanation leads to frustration which can, at times culminate into a period of anhedonia. If left unattended, it may at times precipitate and attack of depression.

Life has taught me to survive this draught. Even in the darkest of times there is still hope and, hope is what we survive on. But how to survive on the fine thread on which life hangs... The thread of hope. 

Well, you need to have faith for that. Faith that the thread will not give away; that it will cling on and carry the burden of pressure till the time turns ripe. It is faith on which the world survives. It is faith that makes a baby giggle when he is suspended by his father in the air - faith that he will be caught in the safe grasp of his father just when he starts falling back. 

And so, the basic idea is to have faith on that thin thread of hope. However, as I said life is complicated. Sometimes the thread breaks and your world crumbles down into two pieces and you are left with nothing but negative emotions. and if you keep on carrying these negative emotions forward, they impact your future endeavours as well. And so one must learn to remain calm and emotionally stable at times of despire. 

My life experiences have taught me one effective method. Exercise. Whenever someone has asked for my advice on non-pharmacological methods for management of depression, I've always quoted, 'When you are happy, workout.  When you are unhappy, workout harder.'

In simplest of terms, this is exactly what exercise does. Regular exercise done judiciously and religiously can go a long way in dealing with emotional issues like anhedonia, depressed mood to Frank depression. It helps with sleep and curbs insomnia. 

Stress, altered sleep cycle, sedentary lifestyle, obesity, dyslipidemia open contribute together to a common problems faced by today's youth: erectile dysfunction. Regular exercise can work miracle in bed. 

So, whenever you are feeling down, hit the gym and sweat out your frustration; anger; depression; or whatever negative emotions your mind is being bothered with...

When you are happy, workout
When you are unhappy, workout harder...

Lord Ram of Ayodhya


বাঙালি ও পড়াশোনা

দুর্গাপূজো চলে এলো। দু মাস ধরে কাউন্টডাউন চলছে। সকালে এফএম খুললেই শোনা যায় আর কটা দিন বাকি মায়ের আসার। ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ সব কিছুতেই কাউন্টডাউন। আর ফাইনালি এক সপ্তাহ। আগামী শনিবার মহালয়া।

কলকাতায় এসেছি ন বছর হয়ে গেল কিন্তু মহালয়ার ভোরে গঙ্গার ঘাটে একবারও যাওয়া হয়ে ওঠেনি আমার। প্রত্যেক বছর কোনো-না-কোনো-ভাবে আমি আটকে পড়েছি। হয় পারিবারিক কারণে শহরের বাইরে থেকেছে, না হলে হসপিটাল ডিউটির জন্য আটকে থেকেছি। 

এই বছর আপাতত কোন বাধ্যবাধকতা নেই বলেই মনে হচ্ছে। তাই ভাবলাম এবার মহালয়ার ভোরে গঙ্গা ঘাটে যেতেই হবে। এই ভেবে রাতে শোয়ার আগে স্নান সারবো বলে বাথরুমে ঢুকছি কি মোবাইল ফোন-টা বেজে উঠলো। দেখলাম অনিন্দ্য ফোন করছে।

কথায়-কথায় জানলাম কাকিমা কে নিয়ে একটু বাজার করতে বেরিয়েছিল। ফিরতে দেরি হয়েছে।না হলে রবিবারের আড্ডা টা আরো আগেই শুরু হয়ে যেত আমাদের। আমি জিজ্ঞেস করলাম মহালয়ার প্ল্যানিং কি। বলল সেরকম কিছু না।তখন আমি সাজেস্ট করলাম দক্ষিণেশ্বরের ঘাটে ভোরবেলা যাওয়ার কথা আর তাতে সে রাজি হয়ে গেল। 

কাকিমার কথা উঠতে আমি প্রশ্ন করলাম about her পাবলিকেশন। কাকিমা একজন লেখিকা। উনার বই প্রকাশিত হয়েছে। আমার বেশ ভালো লেগেছিল।

A: লাইফটা না ভীষণ happening কিন্তু আসলে আমরা ওই happenings গুলোকে ধরতে পারি না। সবকিছুই লাইফে আছে but একটু দূরে-দূরে। হাত বাড়ালেই ধরে ফেলা যায় কিন্তু আমরা ওই হাত বাড়ানোর সাহস করে উঠতে পারি না, কুঁড়েমি করি আবার অনেক সময় ভাবি যে হয়তো হাত বাড়িয়ে ধরতে পারবো না। 
আমার মায়েরও হয়েছে ওই একই দশা।



গত বছর যখন কাকু মারা গেছেন আমি শ্রাদ্ধ ের দিন দেখা করতে গেছিলাম । কথা প্রসঙ্গ কাকিমার কাছ থেকে উনার একটা বই নিয়ে আসি। 
কবিতাগুলোতে প্রাণ আছে। হয়তো কোথাও অনেক কিছু না পাওয়ার ব্যথা, আবার কোথাও একাকীত্ব, আবার কোথাও জীবনকে নতুন করে পাওয়ার আশা। ভীষণ ভাল লেগেছিল।

যখন পরবর্তীকালে আমি লেখালেখি শুরু করি অনিন্দ্য কে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম, 'হ্যাঁরে কাকিমা যে বইটা ছাপিয়েছেন, কিছু টাকা-পয়সা পেলেন?'

A: ধুর, মায়ের কথা বাদ দাও। লেখাই শার। কোন কিছুর খোঁজ-খবর রাখে না। মা জানেওনা কটা বই বিক্রি হয়েছে। সে তার নিজের মনে লিখে চলেছে। আর বাবা চলে যাওয়ার পর হঠাৎ করে জীবনে এত বড় একটা ঝড় আমার মাথার আছড়ে পড়ে যে আমার আর ওই দিকে নজর দেয়ার মতন এনার্জি  ছিলোনা। মায়ের যা খুশি তাই করুক। যদি লেখালেখি নিয়ে ভালো থাকে তাহলে তাই থাক। আমিও আটকাই না।

PK: কিন্তু শুনেছি তো আজকাল লেখালেখি তে ভালোই রোজগার আছে যদি বই বিক্রি হয় ভালো। কাকিমার লেখায় তো প্রাণ আছে রে। একটু যদি ভাল একটা প্লাটফর্ম পেতো আমার মনে হয় অনেক এগিয়ে যেতে পারতো।

A: আসলে কি জানো তো মায়ের গ্রাজুয়েশন টা করা হয়নি। তখনকার সময় ভালো ছেলে দেখে বাবা-মা ধরে বেঁধে বিয়ে দিয়ে দেয়। শ্বশুরবাড়িতে এসে সংসারের চাপ। পড়া আর কমপ্লিট করে উঠতে পারেনি। সেই দুঃখ মায়ের মনে আজও আছে। 
গত বছর বাবা চলে যাওয়ার পর মা যখন লেখার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে নেয় আমি তখন মাকে বললাম, গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করো। তুমিতো বাংলা সাহিত্য নিয়ে চর্চা করছ, তাহলে বাংলাতেই না হয় গ্রাজুয়েশন টা করো। তোমার মনের ইচ্ছেটাও পূরণ হবে আর সাথে সাথে তোমার কনফিডেন্স টাও বাড়বে। 

আমি এমবিএ করছি। তুমিও না হয় আমার সাথেই ভর্তি হয়ে যাও। শনিবার ও রবিবার, মা-ছেলে মিলে দুজনই বইয়ের জগতে হারিয়ে যাব। দেখবে খারাপ লাগবে না। 

PK: কাকিমা রাজি হলো?

A: প্রথমে দোনামোনা করছিল তবে অবশেষে রাজি করিয়েছি। পুজো যাক আমি মায়ের ভর্তির ব্যবস্থা করব। আসলে কি জানো তো মা এর মধ্যে অনেক গুণ রয়েছে কিন্তু সংসারের চাপে সে গুলোকে কোনদিনই সে নিজের মতন করে explore  করতে পারেনি। আমি চাই মাকে সেই সুযোগটা করে দিতে। এখন অসুবিধা তো কিছু নেই। আমি অফিস চলে গেলে সারাদিন মা ঘরে ফাঁকাই থাকে। এমনি সাহিত্যচর্চা ভীষণ ভালবাসে। আমি চাই এবার এই পথেই আরো এগিয়ে যাক অনেকটা পথ।

PK: অবশ্যই পারবে রে। কাকিমা has ডিটারমিনেশন।

আসলে বাঙ্গালী দের পড়ার খিদে টা হয়তো কোনদিনই মেটে না। এটা আমাদের রক্তে আছে।

Summer heat and Durga Puja

Durga Puja is almost knocking at the door. Only around a fortnight is left and Kolkata is reeling under heat and humidity. Today morning was warmer than usual, probably it was because of the humidity. The day was Sunny and afternoon equally hot and humid. Hoping for better weather during the Puja days...




Qutub minar

I had visited  Qutub Minar as a child back in the 90s . More than two decades have past since then but memories have remained fresh. Today when I visited the place I found that a lot has changed over the years but the pillar still stands strong watching over the centuries of human follies...

তখন ক্লাস টু তে পড়ি। সেই আমার প্রথম দিল্লি যাওয়া। 1992 । তারপর, পার হয়ে গেছে দুই দশকেরও বেশি সময়। আজ আবার কাজের সূত্রে দিল্লি এসে কুতুব মিনার বেড়াতে চলে গেলাম।

বিগত ক'বছরে যতবারই দিল্লি এসেছি, ঘুরতে পারি নি একবারও। পলিউশন , ধুলোবালি আর দিল্লির ট্রাফিক । কাজ সেরে আর ইচ্ছে করে না এগুলোকে অতিক্রম করে কোথাও ঘুরতে যেতে।

তবে আজ সকালে কাজ তাড়াতাড়ি হয়ে যাওয়ায় ভাবলাম কাছে ধারে কোথাও যাই। তখন Saket মেট্রো স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তাই মেট্রো চড়ে পরের স্টেশনে নেমে অটো করে কুতুবমিনার চলে গেলাম।

দেখলাম পরিষ্কার পরিছন্নতা বেশ ভালোভাবেই মেন্টেন করেছে সরকার। মিনার প্রাঙ্গন খুব ভালোভাবে রাখা। ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল। খুব ইচ্ছে হচ্ছিল সিঁড়ি দিয়ে মিনারের ওপরে চড়ি কিন্তু এখন আর সেটা সম্ভব নয়। সরকার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দিনটা বেশ ভালোই কাটলো আজ। @ Qutub Minar






Instagram

Facebook